
মোঃ জাহিদুল ইসলাম,দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি।।দেওয়ানগন্জ (জামালপুর) থেকে :জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার ৫ টি উপজেলায় আধুনিক প্রযুক্তিতে আখ চাষ শুরু হয়েছে।চলতি আখ রোপণ মৌসুমে (২০২৪-২৫) ৫ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।গত রোপণ মৌসুমে (২০২৩-২৪) সাড়ে ৩ হাজার একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছিল।এবার ২ হাজার একর জমিতে বেশি আখ চাষ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।চিনিকল এলাকার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ,জামালপুর নান্দিনা সাব জোনের অধীনে ৬০টি ইউনিটে ৫ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ চাষ করা হচ্ছে।প্রশিক্ষিত ৬০ জন সিডিএ আখ চাষীদের অল্প জমিতে অধিক ফলনের লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিতে আখ চাষ করার কলা কৌশল ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।এর আগে প্রত্যেক সাবজোনে আখ চাষীদের ৩দিন করে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
চিনিকলের এমডি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ নিয়মিত ভাবে মাঠ পরিদর্শন করছেন। এর ফলে এবার আখ চাষীদের মাঝে আখ চাষের উৎসাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।মিলগেট এ’ সাব জোনে- ১২৮৮ একর,বি’ সাব জোনে-৫৫৪একর,সি’ সাব জোনে ১৮০০ একর,ইসলামপুর সাব জোনে-৪৪৫একর, মেলান্দহ সাব জোনে-৪১৩ একর, নান্দিনা সাব জোনে-৩৭২ একর এবং চিনিকল পরীক্ষামূলক খামারে ২৮ একর জমিতে চলতি রোপণ মৌসুমে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও অঋনী ৩০০একর ও মুড়ি আখ ২ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ চাষ করা হবে।২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আখ চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮শ’একর।গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬০ ইউনিটে এক যোগে আখ চাষ শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। গত ২০২৩-২৪ রোপণ মৌসুমে আখ চাষ করা হয়েছিল সাড়ে ৩ হাজার একর। মাঠে চাষিরা আরো সাড়া দেওয়ায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ এবার আরও বেশি ২ হাজার একর জমিতে আখ চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।কৃষকদের মাঝে সার,বীজ ও কীটনাশক বাবদ সাড়ে ৪ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।এতে কৃষকদের মাঝে আখ চাষে উৎসাহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে।