
আবুল হাসান নিজস্ব প্রতিনিধি : বরগুনার তালতলীতে একটি নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গত ১১ নভেম্বর ২০২৪ দৈনিক দিগন্তর সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে তালতলীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মন এমপিও শিক্ষিকার ভারপ্রাপ্তের চেয়ার দখল শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি গভর্নিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উম্মে সালমা।শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও সংশোধিত এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৩ অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক জ্যেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেলেও ২০২২ সাল থেকে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার পদ দখল করে থাকা শাহ্ নূরজাহানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শিক্ষা বিভাগ কিংবা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি। নানা অনিমে জর্জরিত থাকা শাহ্ নূরজাহানের মদদদাতা উপজেলা প্রশাসনের একটি কুচক্রীমহল। যার কারণে অনিয়ম জেনেও শাহ নুরজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্যতা করছে ইউএনও এবং শিক্ষা অফিস।উল্লেখ্য, বেগম নূরজাহান নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ২০০৩ সালে স্থাপিত হয়। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তির আবেদন করলে ২০২২ সালের ৬ জুলাই শাহ্ নূরজাহানের ভুয়া কাগজপত্র এবং নানা জটিলতার কারণে তিনি ব্যতীত অন্যরা এমপিওভুক্ত হন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা তাঁদের সংশ্লিষ্ট পদে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে গণনা করা হলেও নন এমপিও শিক্ষিকা শাহ্ নূরজাহান অলৌকিক ক্ষমতা বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করছেন।যাহা সম্পন্ন শিক্ষা নীতিমালা বহির্ভূত।এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শাহ্ নূরজাহানের কাছে সংবাদ প্রকাশের জন্য তখন বক্তব্য চাইলে,এ প্রতিবেদককে তিনি ছোট ভাই দাবী করে একসাথে চা খাওয়ার অফার করেন।যেটি ১১ নভেম্বর দৈনিক দিগন্তর পত্রিকায় বিস্তারিত সহকারে প্রকাশিত হয়।তবে বর্তমানে বক্তব্যের জন্য ওই শিক্ষিকাকে একাধিকবার ফোন করে কিংবা ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সারা পাওয়া যায়নি। স্থানীয় মানুষ এবং কিছু সংখ্যক সাংবাদিকের কাছে তিনি বলে বেড়াচ্ছেন শিক্ষা অফিস এবং ইউএনও অফিসকে ম্যানেজ করেছি। সাংবাদিকদের প্রকাশিত সাংবাদে আমার কিছুই হবে না।তালতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ.দা.) আলী আহাদ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সকল দায়িত্ব ম্যানেজিং কমিটির। ম্যানেজিং কমিটি যদি আমাদের কাছে কোন প্রতিকার চেয়ে থাকে তাহলে আমরা তাদেরকে প্রতিকার দেওয়ার চেষ্টা করি।গভর্নিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, এটার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।তবে তদন্ত কার্যক্রমের মেয়াদকাল জানেন না তিনি।তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হলে এ ব্যাপারে ফিডব্যাক দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।