
স্কুলগুলোতে কোচিং করানোর পেছনে কিছু নেতিবাচক দিক বা “দোষ” রয়েছে, যা শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান, নৈতিকতা ও শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব ফেলে।এখন স্কুল কক্ষেই চলে কোচিং বাণিজ্য।এ বিষয়ে নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো:
১. অনৈতিকতা ও পেশাদারিত্বের অভাব : অনেক শিক্ষক স্কুলে ঠিকমতো না পড়িয়ে কোচিং সেন্টারে বেশি গুরুত্ব দেন।ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুলে পাঠ না দিয়ে ছাত্রদের কোচিং-এ আসতে বাধ্য করেন।
২. শিক্ষার্থীদের উপর আর্থিক চাপ : কোচিং-এর খরচ অনেক সময় দরিদ্র পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।শিক্ষার নামে বাণিজ্যিকরণ ঘটে।
৩. স্কুল শিক্ষার মান নষ্ট হওয়া : শিক্ষকরা ক্লাসে মনোযোগ কম দেন।স্কুলের পাঠ্যক্রম ও সময়সূচি ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না।
৪. মেধাবী ও দুর্বল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য : কোচিং মূলত মেধাবীদের প্রতি বেশি মনোযোগ দেয়, ফলে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা আরও পিছিয়ে পড়ে।
৫. শিক্ষার্থীদের চাপ ও মানসিক অবসাদ : স্কুল ও কোচিং একসাথে চালাতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়ে।খেলাধুলা, সৃজনশীলতা বা বিশ্রামের সময় খুবই কমে যায়।
৬. নকল শিখিয়ে পরীক্ষায় ভালো ফল করানো : অনেক কোচিং সেন্টার পরীক্ষায় ভালো ফল করাতে মুখস্থনির্ভর পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়, ফলে শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা কমে যায়।তাইতো এমতাবস্থায় মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে কোচিং-এর নামে এক্সট্রা/বাড়তি খরচ কমাতে শিক্ষকদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।
শাহবাজ জামান
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
shabajjaman@gmail.com