
মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে এক শিক্ষকের পরকীয়াকালে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের কাছে আটক হয় এক যুগল।এরপর স্থানীয়ভাবে ওই যুগলের বিয়ের কথা উঠলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সটকে পড়ে প্রতারক ঐ প্রেমিক।এ নিয়ে এলাকায় বেস চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় প্রতিবেদন তৈরী করতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে বচসা হয় ঐ প্রমিকের। সূত্রজানায় গত ২০ জুলাই উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের রানাদিয়া খালপাধোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ২৩ জুলাই মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী।এছাড়া ২৬ জুলাই অপর একটি অভিযোগ করেন দুর্ব্যবহারের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী এক সাংবাদিকও।ঘটনার প্রেক্ষিতে জানা যায় ওই শিক্ষকের নাম রাজীব, তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের রানাদিয়া খালপাধোয়া গ্রামের বাসিন্দা। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই এলাকার স্থানীয় মাতবর মো. দেলোয়ার হোসেনের (৪৫) বিরুদ্ধেও।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ঐ নারীর বড় মেয়েকে প্রাইভেট পড়ানোর সূত্রে শিক্ষক রাজিবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ভুক্তভোগী নারীর। একপর্যায়ে তিনি তাকে প্রেম-ভালোবাসার প্রস্তাব দিলে তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন। এবং প্রথম স্বামীকে তালাক দিতে ওই নারীকে প্রভাবিত করেন তিনি।এ নিয়ে গত শনিবার রাতে ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান অভিযুক্ত ওই শিক্ষক।এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে বেধে রাখেন।পরে স্থানীয়দের মধ্যস্ততায় এক সপ্তাহ পরে ওই নারীকে তিনি বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়,এরপর অভিযুক্ত রাজিব লাপাত্তা হয়ে যান। এদিকে বিয়ে না করায় ওই নারী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।ভুক্তভোগী নারী বলেন, রাজিবের কারণে আমার সংসার ভেঙেছে।তার কথার উপর ভিত্তি করে আমি আমার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়েছি।বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে রাজিব।আমি বিয়ের দাবিতে রাজিবের বাড়িতে গিয়ে উঠলে তার পরিবার আমাকে মেরে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ফেলে রাখেন।এদিকে পুলিশও আমাকে কোন সহযোগিতা করছে না।এখন আমার আর কোন রাস্তা নেই।হয় আমাকে বিয়ে করতে হবে নয়তো আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি তাকে পেতে হবে।এই বিষয়ে রাজিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার গ্রামে গেলে স্থানীয় মাতবর মো. দেলোয়ার হোসেনের (৪৫) বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় সাংবাদিকদের।এক পর্যায়ে তিনি অপমানজনক ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখান।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।