1. admin@dainikdigantor.com : admin :
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খুলনাসহ সকল আসনের ধানের শীষ প্রার্থীকে বিজয়ী করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে উপহার দেব’ বেনজীরের ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের রাজনীতি সাধারণ নাগরিকদের হওয়া উচিত: নাহিদ কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েই গুলিতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন ঝিনাইদহের মধুহাটিতে ৮ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন ৩৫ বছরের যুবক রাজধানীতে দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ১ দুদকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা এস আলমের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে ৪ লাখ টাকার হেরোইনসহ এক যুবক গ্রেফতার সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই, যথেষ্ট মজুদ রয়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বিএনপি মহাসচিবের দাবি আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের ইঙ্গিত: উপদেষ্টা নাহিদ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে বলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ জবাব দেন তিনি।ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে। ছাত্র এবং অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ অগাস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ অগাস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছ, তখন আমাদের আপোষকামী অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)।উপদেষ্টা নাহিদ বলেন,  আমরা ৩ অগাস্ট থেকে বলে আসছি আমরা কোনো প্রকারের সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবো না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টেন্টমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিং এর মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেকদিন স্থায়ী হবে এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজী হয় নাই। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলতেছে সামনের নির্বাচনের পরে। উপদেষ্টা বলেন,  ছাত্ররাই এই সরকারের এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর যেটা ১/১১ এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েকদিন আগে মাইনাস টু এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নিবে না। এবং আমি মনে করি এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।আর এই সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানান সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ই অগাস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের আইজিপির নিয়োগ হয়েছিল যারা মূলত বিএনপির লোক। এরকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থী লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে।তিনি বলেন,  রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এগুলা কোনোটাই ছাত্রদের দলীয় কোনো দাবী ছিল না। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিন্তু এর মানে এই না যে গণতন্ত্রবিরোধী ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমান ছাড় দিবো।আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারি নাই এত হত্যা ও অপরাধের পরেও। হায় এই ‘জাতীয় ঐক্য’ লইয়া আমরা কি রাষ্ট্র বানাবো!  বাংলাদেশ কে দুর্বল করা সহজ কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।আমি মনে করিনা সমগ্র বিএনপি এই অবস্থান গ্রহণ করে। বরং বিএনপির কর্মী সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চায়।বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহবান করব, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্র-জনতার সাথে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নিন।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করার পরও যদি সরকারে তাদের প্রতিনিধি থাকে তাহলে সরকার নিরপেক্ষ থাকতে পারবে না।  এভাবে তারা নির্বাচন করতে চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে না।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করার পরও যদি সরকারে তাদের প্রতিনিধি থাকে তাহলে সরকার নিরপেক্ষ থাকতে পারবে না।  এভাবে তারা নির্বাচন করতে চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে না। যদি সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন পরিচালনা করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক দিগন্তর © বাজ এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।। Regi No-280138  
Theme Customized By Shakil IT Park