
আবুল হাসান, নিজস্ব প্রতিনিধি।।বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধি ডক্টর আবুল কালাম আজাদ এর স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।ডক্টর আবুল কালাম আজাদ এর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগদানের পূর্বে তাকে ডিজির প্রতিনিধি সাজিয়ে ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য করায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।জানা যায়, কড়াইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় ২০১৮ সালের ২৫শে জুন ডক্টর আবুল কালাম আজাদকে নিয়োগ বোর্ডের ফলাফল সিটে ডিজির প্রতিনিধি দেখিয়ে অফিস সহকারী পদে মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে নিয়োগ দেয়। অথচ ডক্টর আবুল কালাম আজাদ ২০১৮ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগদান করে। কড়ইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাহবুবুল আলম নাসির নিজ হাতে ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল করেছেন বলে জানা যায়।নিয়োগ কালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছোটবগী কমডেকা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা মাস্টার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ার সুবাদে এবং বরগুনা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর রাজনৈতিক ভাবে একান্ত কাছের লোক হওয়ায় ভুয়া নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেনি দাতা সদস্য মোঃ ইউসুফ আকন সহ কমিটির অন্য লোকেরা।ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং সাবেক তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুর হস্তক্ষেপে তালতলী ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. মোঃ হারুন অর রশিদ এবং ছোটবগী কমডেকা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা মাস্টারের সহযোগিতায় মাদ্রাসা সুপার মাহবুবুল আলম নাসির ভূয়া নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সাজিয়ে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ বিল্লাল হোসেন, সহকারী পরিচালক মোঃ আফাজ উদ্দিন এবং পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ এর স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ দেয়। ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল সহ একাধিক জালিয়াতি ও অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এ সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানিক সকল অনিয়ম দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভূমিদস্যু তৌফিকুজ্জামান তনুকে সভাপতি বানানো হয়। শম্ভুর ছত্রছায়ায় থেকে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যায়। সরকারি রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে, শিক্ষকদের স্কুল ফাঁকির ঘটনা বিড়ল। প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে, ক্লাস না করেও একই সাথে অবৈধ ভাবে একাধিক স্বাক্ষরের অভিযোগে রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।নিয়োগ বোর্ডের সদস্য অধ্যক্ষ মাও. মো. হারুন অর রশিদ বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আলোচনাকালে বলেন, কেবলমাত্র ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর ভূয়া। যা এ প্রতিবেদকের গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে। কড়ইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাহবুবুল আলম নাসিরকে একাধিকবার কল দিয়ে কিংবা ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সারা মেলেনি। ছোটবগী কমডেকা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং নিয়োগকালীন কড়ইবাড়িয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিলর মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ. রাজ্জাক তালুকদার ওরফে রাজা মাস্টার বলেন, নিয়োগের বিষয় আমি কিছু জানি না। আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো আওয়ামী লীগ পতনের পরেও স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা মাস্টার ছোটবগী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি এখনও এলাকার মানুষের কাছে একজন আতঙ্কিত ব্যক্তি।ডিজির প্রতিনিধি ডক্টর আবুল কালাম আজাদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, অধিদপ্তরে যোগদানের ৩ মাস পূর্বে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। নিয়োগ কমিটি সম্পন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে।