
বিশেষ প্রতিনিধি।।ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। ফুল হচ্ছে শুভ্রতা, শান্তি ও ভালোবাসার প্রতীক। ফাগুন এলেই সঙ্গে নিয়ে আসে হাজারো প্রজাতির ফুলের সমাহার। অজস্র রকমের রঙিন সেই ফুলের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠে রংবেরঙের প্রজাপতি।ফুল যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভূমিকা রাখে, তেমনি মানুষের মনকেও করে স্নিগ্ধ। তাই আসুন আমরা ফুলকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করে পৃথিবীব্যাপী এর সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিই। পৃথিবী হোক ফুলের, পৃথিবী হোক মানুষের।ফুল প্রকৃতিকে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ সাজে সাজিয়ে দেয়। তাই ফুল আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক। ষড় ঋতুর এই দেশে ঋতু বৈচিত্র্যের সাথে তাল মিলিয়ে ফুলও তার সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয় ভিন্ন ভিন্ন সাজে। নানা প্রজাতির ফুল আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে সর্বদা সজীব ও প্রাণবন্ত করে রাখে রূপ ও সুবাসের মাধ্যমে।শীতের পর ঋতুরাজ বসন্তকালের আগমন। এ ঋতুরাজে প্রকৃতি তার সমস্ত সৌন্দর্য ও সজীবতা বিকশিত করে নতুন রুপে। প্রকৃতিকে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ সাজে সাজিয়ে দেয় ফুল। ফুলের পরশে এমনই মোহনীয় হয়ে উঠেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। উঁচু ভবন থেকে দেখলে মনে হবে যেন এক টুকরো মাটিতে ফুলের গালিচা বিছানো হয়েছে।সকালের স্বর্ণরাঙা রোদের কিরণ ফুলের গায়ে পড়তেই চারিদিকে তার আভা ছড়িয়ে পড়ছে। গাছের পাতার ভাঁজে ভাঁজে হেসে উঠছে সবুজ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। এমন নয়নাভিরাম ফুলের বাগান দেখতে চাইলে যেতে হবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে এরূপ একটি নয়নাভিরাম ফুলের বাগান।ফুলের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় জমাচ্ছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলে নিজেদের প্রেম বন্দীও করছেন কেউ কেউ । ইট পাথরের শহরের মাঝে এ ধরনের ফুলবাগান সবাইকে করছে বিমোহিত।বাগানে ঢুকে দেখা যায় পরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন আকৃতিতে ফুলের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে শোভা পাচ্ছে নানা রং ও জাতের ফুল। এর মধ্যে গোলাপ ছাড়াও ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, জিনিয়া, হাইব্রিড গাঁদা, চাইনিজ গাঁদা, সিলভিয়া, স্টার, পিটুনিয়া ইত্যাদি ফুলের নাম উল্লেখ করার মতো। নিয়মিত পরিচর্যায় ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।