1. admin@dainikdigantor.com : admin :
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঝিনাইদহের মধুহাটিতে ৮ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন ৩৫ বছরের যুবক রাজধানীতে দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ১ দুদকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা এস আলমের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে ৪ লাখ টাকার হেরোইনসহ এক যুবক গ্রেফতার সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই, যথেষ্ট মজুদ রয়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ঢাকা হঠাৎ মেট্রোরেল কর্মীদের সব ছুটি বাতিল, বাড়তি সতর্কতা জারি আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো মানিকগঞ্জে ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেফতার

দখল ও দূষনে টাঙ্গাইলের লৌহজং নদী-প্রান ফিরে পেতে নতুন জঞ্জাল

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

 

স্টাফ রিপোর্টার টাঙ্গাইল।।দখল ও দূষনে টাঙ্গাইলের লৌহজং নদী নতুন করে প্রান ফিরে পেতে নতুন জঞ্জাল তৈরী হয়েছে।জানাযায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের কাশিনগর এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ লৌহজং নদী জেলা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জেলার মির্জাপুর উপজেলার বংশাই নদীতে পড়েছে।এক সময় এই নদীকে কেন্দ্র করে শহরের নিরালার মোড় এলাকায় নৌবন্দর ছিল বলেও জানাযায়।ওই সময় দেশ-বিদেশ থেকে লঞ্চ, স্টিমার, জাহাজ ও বড় বড় নৌকা বাণিজ্যে আসতো ওই নৌবন্দরে।আর মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল এখানে।উজানে যমুনা ও এর শাখা ধলেশ্বরীতে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়ে লৌহজং নদীতেও। ফলে নাব্যতা হারাতে থাকে নদীটি। ফলে বন্ধ হয়ে যেতে থাকে বড় নৌকার চলাচল।দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিং না করায় নদীটি নাব্যতা হারিয়েছে।এই সুযোগে দুই পাড়ের বাসিন্দারা কৌশলে প্রথমে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দখল করে নেয়। পরবর্তী সময়ে স্থায়ী ভবন, দেয়াল ও স্থাপনা নির্মাণ করেন। এ ছাড়া কল-কারখানা ও শহরের সব ময়লা-আবর্জনা নদীতে ফেলে দূষিত করা হচ্ছে পানি।টাঙ্গাইল অংশে নদী পরিমাপ করে ২৬০টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়।এ অবৈধ দখলদারিত্বের নামের তালিকা বিল বোর্ড করে নদীর বিভিন্ন স্থানসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টাঙানো হয়।নদীটি দূষণ ও দখল মুক্ত করার জন্য ২০১৬ সালে আন্দোলনে নামে স্থানীয় বাসিন্দারা।ওই বছরের ২৯ নভেম্বর নদীটি দূষণ ও দখলমুক্ত কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন।সে সময় শহরের পুলিশ লাইনস হাজরাঘাট এলাকা থেকে বেড়াডোমা পর্যন্ত চার কিলোমিটার দূষণ ও দখলমুক্ত করা হয়।কিন্তু চার বছর যাবত কোনো কার্যক্রম না থাকায় নদীর স্বাভাবিক গতি হারিয়ে সরু খালে পরিণত হয়েছে।“তিন-চার দশক আগেও এই নদীতে গোসল করা যেত।নদীর পানি দূষণের ফলে ব্যবহারের অনুপযোগী। নদীতে মাছ তো দূরের কথা, পানিতে বসবাসকারী কোনো পোকাও নেই।এর কারণ হচ্ছে, বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য ফেলে নদীটি বিভিন্নভাবে দূষণ করা হয়েছে।নদী থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। ”টাঙ্গাইলে লৌহজং নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে আবর্জনা পরিষ্কার অভিযান শুরু হয় স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিন।ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের হাউজিং মাঠ এলাকায় নদীর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। “বিডিক্লিনের দুই হাজার সদস্যসহ মোট তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবীর সহায়তায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হয়।প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প নদী, খাল জলাশয় উদ্ধারের আওতায় রাজ্য সিনেপ্লেক্স লৌহজং নদী আবর্জনা পরিস্কার ও নদীর দুই পাড়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার দৃষ্টি নন্দন রাস্তা তৈরিতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করলেও অদৃশ্য শক্তির কাছে অনেকটাই অসহায় হয়ে পরেছন। নদীপাড়ের বাসিন্ধারা স্বেচ্ছায় তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিলেও কতিপয় প্রভাবশালীদের আত্মীয় পরিজনের গুটি কয়েক বাড়ীঘরের আংশিক অপসারন না করায় থমকে গেছে কাঙ্ক্ষিত লৌহজং নদী উদ্ধার, দখল দূষন ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া।এ বিষয়ে,সামাজিক সংগঠন নোঙর এর টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি নূর মুহাম্মদ রাজ্য বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের কাজ করতে এসে গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির রোষানলের কারনে প্রকল্পের গতি কমে গেছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রশাসন লৌহজং নদী দূষনমুক্ত দখল মুক্ত করনসহ নদীর দুইপাড়ে দৃ‌ষ্টি নন্দন রাস্তা নির্মাণে যে সহযোগিতা দিয়েছেন তা অকল্পনীয়। দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা যতটুকু আশা করেছিলাম, কতটুকু পাইনি। তাছাড়াও সুশীল সমাজের ধ্বজাধারি জনৈক সাংবাদিকের ভূমিকা আমাদের আহত করেছে।তিনি দুঃখ করে আরো বলেন,স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিন রাজধানী হতে দুই সহস্রাধিক “বিডি ক্লিনের ও স্থানীয় একহাজার স্বেচ্ছাসেবী দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমার কচুরিপানাসহ আবর্জনা পরিস্কার বিসয়টিকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সাধুবাদ পেলেও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতির নিষেধাজ্ঞার কারনে গণমাধ্যমে ওই সংবাদ জোরালো প্রচার পায়নি। ওই সাংবাদিক নেতা নিজেই নদী দখল করে আছেন এবং তার নিকটাত্মীয়রাও লৌহজং নদীর অবৈধ দখলদার।লৌহজং নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনাসহ দখল দূষণমুক্ত করাসহ নদীর দুইপাড়ে দৃষ্টি নন্দন রাস্তা নির্মাণ করতে হলে প্রশাসনিক জন্জালসহ চিহ্নিত সাংবাদিক নেতার অদৃশ্য শক্তি দুরীভূত করার কোন বিকল্প নাই।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক দিগন্তর © বাজ এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।। Regi No-280138  
Theme Customized By Shakil IT Park