
আবুল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরগুনার তালতলীতে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার নামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ৭-৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সংরক্ষিত (নারী আসন) এক ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই নারী ইউপি সদস্য। এদিকে মাতৃত্বকালীন ভাতা না পেয়ে এক ভুক্তভোগী তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।জানা গেছে, ৭-৮ হাজার টাকার বিনিময়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক নারীর কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বড়বগী ইউপির ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত (নারী আসন) ইউপি সদস্য পারভীন ওরফে কইতুরী। একই সাথে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামেও করেন প্রতারণা। নিজেকে আওয়ামী লীগের বড্ড নেত্রী এবং শেরে-বাংলা একে ফজলুল হকের ভুয়া বংশধর পরিচয়ে একাধিক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মানুষকে হুকমির কল রেকর্ডও ভাইরাল হয়েছে কয়েকবার। মানুষকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দাবিয়ে রাখেন বলে জানান তার নিজ গ্রাম নাওভাংঙ্গার লোকেরা। তার অশ্লীল গালিগালাজ ও মানুষকে মিথ্যা মামলা এবং বিভিন্ন পরিচয়ে হুকমির বিষয়ে বাংলানিউজ২৪, দৈনিক দিগন্তর, স্থানীয় স্বাধীন বাণী সহ একাধিক সংবাদপত্রের শিরোনামে আসে।তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপ কুমার পালের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার ফোন কিংবা তাহার অফিসে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সারা মেলেনি।