
খুলনা জেলা প্রতিনিধি : চাঁদা বাজী ও নারী কেলেঙ্কারি সহ নানা অভিযোগে খুলনায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সাবেক ১৯ নং ওয়ার্ড এর অপসারিত কাউন্সিলর বিপ্লবের নামে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ শ্রমিকরা।আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে এই সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রমিক নেতা রেজাউল হক বাবলু। তিনি বলেন গত ১৫ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দুঃশাসনের আমরা শ্রমিকরা নানা ভাবে নিষ্পেষিত হয়েছি তার লোক দ্বারা।জাকির হোসেন বিপ্লব আওয়ামী লীগের পদ পদবী ব্যবহার করে এই ইউনিয়নে যা খুশি তাই করেছে।যাকে খুশি তাকে নেতা বানিয়েছে।এমনকি তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে নানান ভাবে হয়রানি করেছে।ভয়ে কেউ কথা বলতে না পারায় সে যা খুশি তাই করতো।সে বহিরাগত প্রায় ২ হাজার লোক দ্বারা সদস্য কার্ড দিয়ে ভোটার বানিইয়াছে।গত ইউনিয়ন নির্বাচনে নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগে নির্বাচন দিয়ে দেবতা সেজেছিলো।অথচ নিজের পদ, সাধারণ সম্পাদক, ক্যাশিয়ার, নিজের ছেলে ঐশ্বয্যর পদ প্রচার সম্পাদক এই সকল পদে জোর পূর্বক কাউকে নমিনেশন কিনতে দেয়া হয় নাই।বাকি সব পদ উন্মুক্তভাবে নির্বাচন হয়।নির্বাচনের সময় দেখা যায়, সকলে নির্বাচিত হওয়ার আশায় স্বৈরাচারী বিপ্লবের ছবি পোস্টারে দিয়েছিল। কিন্তু স্বৈরাচারী বিপ্লবের পাতানো নির্বাচনে যারা হওয়ার তারাতো আগে হয়েই আছে।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বাবলু আরো বলেন স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য মনের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করিতেছে।তাদের দাবি স্বৈরাচারী বিপ্লবের কমিটির হাত হইতে মুক্তি চায়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা আন্দোলন করিয়া দেশের সর্বস্থরে স্বাধীন হয়েছে অথচ খুলনা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে মটর শ্রমিকরা স্বাধীনতা পায় নাই। স্বৈরাচারী বিপ্লব এখনও শ্রমিকদের মারধর করিতেছে।গত ২২/০৯/২০২৪ ইং তারিখে শ্রমিক একলাছ (ড্রাইভার)কে মারধর করিয়া ৮০,৭০০/- টাকা কাড়িয়া নেয়, যাহার কারণে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়, যাহার মামলা নং-১৭ (৯)২৪, ধারা-১০৯/ ৩৪১ /৩৭৯/৩৮৫/ ৫০৬/৪০৭/৩২৩। এই মামলায় গত ৩০/ ০৯/ ২০২৪ ইং তারিখে কোর্ট হাজির হইলে স্বৈরাচারি বিপ্লবকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের অবগতির জন্য আরো জানাচ্ছি স্বৈরাচারি বিপ্লব গত ০৪/০৮/২০২৪ ইং তারিখে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের তার বাহিনীকে নিয়ে সোনাডাঙ্গা ২য় আবাসিক এলাকায় ও খোকন কমিশনারের বাড়ির সামনে ছাত্রদের মারধর করে এবং কুরআনের পাখি মাওলানা দেলোয়ার সাঈদীর সাহেবের লাশ খুলনার মাটিতে যাতে নামাতে না পারে তাহার মিছিল করিয়াছে। স্বৈরাচারি বিপ্লব সোনাডাঙ্গা বাস ষ্ট্যান্ডে মাদক ব্যবসায়ীর সম্রাট এবং সন্ত্রাসীদের লালন পালন করে শ্রমিকদের জিম্মি করে রেখেছে।শ্রমিকের ঘাম ঝরানো ইউনিয়নের কল্যাণ তহবিলের গচ্ছিত টাকা দিয়া খুলনা ১৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করিয়াছে।ড্রাইভার জামালের গাড়ির দূর্ঘটনায় এক জন যাত্রী মারাগেলে ড্রাইভার জামাল তার সুপার ভাইজার ও হেল্পারের ফাসির অর্ডার দেয় আদালত।পরে স্বৈরাচারি বিপ্লব তদবিরের জন্য জামালের স্ত্রীকে নিয়া ঢাকায় কোন এক হোটেলে রাখে এবং শীলতাহানীর চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে জামালের মামলার আর কোন তদবির করেনি এই বিপ্লব।বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মুখোশ পরা ভোল পাল্টানো এই শ্রমিক নেতার শাস্তির দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।