1. admin@dainikdigantor.com : admin :
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঝিনাইদহের মধুহাটিতে ৮ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন ৩৫ বছরের যুবক রাজধানীতে দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ১ দুদকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা এস আলমের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে ৪ লাখ টাকার হেরোইনসহ এক যুবক গ্রেফতার সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই, যথেষ্ট মজুদ রয়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ঢাকা হঠাৎ মেট্রোরেল কর্মীদের সব ছুটি বাতিল, বাড়তি সতর্কতা জারি আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো মানিকগঞ্জে ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেফতার

কালীগঞ্জ পৌর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজার বিরুদ্ধে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ!

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
প্রতারক সেলিম রেজা..

 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট:হালিমা রহমান নামে এক নারীর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে এক প্রতারক। প্রতারক ওই ব্যক্তির নাম মো: সেলিম রেজা, তার পিতার নাম মোঃ ইমান আলী, বাড়ি ঝিনাইদাহ জেলার কালিগঞ্জ থানার চাপালি গ্রামে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার খালিশপুর থানার অন্তর্গত মুজগুন্নি আাবাসিক এলাকায়। ওই নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা একটি অনুষ্ঠানে ২০২১ সালে তার সাথে পরিচয় হয় সেলিম রেজার।ওই সময় তিনি নিজেকে বড় ব্যবসায়ী এবং আওয়ামীনেতা বলে পরিচয় দেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে হালিমা রহমানকে তিনি প্রস্তাব দেন তার স্বামী মোঃ মজিবুর রহমানের সাথে পরিচয় করে দেয়ার।এরপর একদিন ব্যবসা নিয়ে আলোচনার জন্য সেলিম হালিমার বাড়িতে আসেন। সেখানে মজিবুর রহমান, হালিমা ও সেলিম রেজার মধ্যে একটি ব্যবসায়ীক চুক্তি হয়। যার তারিখ ছিল ১৬/০২/২০২২ইং। সেই থেকে ব্যাবসার হিসাব নিকাস সহ সবকিছু পরিচালনা করতেন মজিবুর রহমান ও সেলিম রেজা। এরপর ১৭ নভেম্বর ২০২২ সালে মো: মজিবুর রহমান খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ICU তে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এরপর প্রতারক সেলিম রেজা বিভিন্ন সময় ব্যাবসায়ীক কথা বার্তা বলে ওই নারীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে একটি সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করেন।সে সময় তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে এবং নিজেকে সে এতিম বলে প্রায়ই কান্নাকাটি করতেন।এসব শুনেও ওই নারী শুধুমাত্র ব্যবসায়িক খাতিরে তার সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতারক সেলিম তার পরিবারের কাছে হালিমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন।এরপর পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হলে ঐ নারীর নিজ বাড়ি খুলনাতে থেকেই যাবতীয় ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করেন সেলিম। কিছুদিন পর ঐ নারী জানতে পারেন সেলিম রেজা তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।তার স্ত্রী এবং সন্তানরা তার তত্ত্বাবধানেই রয়েছে।সে কোন বড় ব্যবসায়ী নন। তার ভাইদের একটি মুদি দোকান এবং নিজের একটি মটর পার্টসের দোকান ব্যাতিত আর কিছুই নেই। এ সব জেনেও লোক লজ্জা, মান-সম্মানের ভয়ে চুপ থাকেন হালিমা। কিন্তু প্রতারক সেলিম চুপ থাকেননি।ধীরে ধীরে তার আসল রূপ বেরিয়ে আসতে থাকে। সে প্রায়ই নেশাদ্রব্য সেবন করে মাতাল হয়ে বাড়িতে আসতে শুরু করে। এরপর নানা বিধ ব্যবসার কথা বলে ওই নারীর নিকট থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন।আর এভাবে তিনি তার সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ খোয়াতে থাকেন আস্তে আস্তে।এক পর্যায়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে সেলিম তার সন্তানকে খুন করবে বলে হুমকি দেন। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আবারো তাকে ব্যবসার জন্য টাকা দিয়ে খুলনার মানিকতলা মোড়ে একটি মোটর পার্সের শোরুম করে দেন।কিন্তু তাতেও মন ভরে না প্রতারক সেলিমের, সে দাবি করেন হালিমা রহমানের পরিশ্রমে গড়া বাড়িঘর সহ সকল সম্পত্তি তার নিজ নামে লিখে দিতে হবে।এটা সম্ভব নয় জানালে শুরু হয় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন।একপর্যায়ে সম্পত্তি এবং নগদ টাকা না পাওয়ায় হালিমা রহমানের নামে খুলনার মানিকতলায় যে মোটর পার্টসের শোরুম ছিলো তার যাবতীয় মালামাল চুরি করে ট্রাকযোগে পালিয়ে যায় সেলিম।পরে ঐ নারীকে ডাকযোগে ডিভোর্স লেটার পাঠায় সে। এ নিয়ে খুলনার আদালতে নারী,শিশু ও যৌতুক নির্যাতন দমন আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ঐ নারী। যার নম্বর-সিআর ২৭৪/২৩-১৭৯-২৩।উক্ত মামলায় গত ১৬ ই নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সেলিম গ্রেফতার হন। ঔই মামলায় সেলিম তিন মাস জেল খেটে জামিনে বের হন।বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।হালিমা বলেন প্রতারণা করে আমার কাছ থেকে সেলিম যে দুই কোটি টাকা নিয়েছে তা ফেরত চাই। সাথে সাথে এ ধরনের একজন নারী লোভী ও অর্থ পিপাসু প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। তিনি বলেন বর্তমান সরকার ছাত্র জনতার সরকার আমি এই সরকারের নিকট প্রতারক সেলিম রেজার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। যাতে করে আমার মত কোন নারীকে প্রতারণা করার সাহস কোন পুরুষ না পায়।এ বিষয়ে সেলিম রেজার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন হালিমা নয় বরং আমি তার নিকট উল্টো ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা পাবো। কিভাবে এতগুলো টাকা দিলেন এবং তার কোন ডকুমেন্ট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।এ বিষয়ে হালিমা রহমান বলেন সেলিম রেজা সহ তার দুই ভাইকে আমি যে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছি তার প্রমান রয়েছে।তিনি বলেন সেলিম আমার স্বামী থাকা অবস্থায় আমার ড্রয়ার খুলে আমার সাক্ষর করা কয়েকটি চেকের পাতা চুরি করে। সেই চেক দিয়ে তার সমস্ত কু কর্মের সহযোগি তার আপন দুই ভাই শাহিন রেজা ও শাকিল রেজাকে দিয়ে পরবর্তীতে ঝিনেইদাহ কোটে আমার বিরুদ্ধে দুইটা মামলা দায়ের করেন।কিন্তু চেক চুরির বিরুদ্ধে আগেই আমি খালিশপুর থানায় একটি জিডি করি এবং সার্চ ওরেন্টে হয়। সে এখন এই চেক দেখিয়ে বলতে পারে আমার নিকট টাকা পাবে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক দিগন্তর © বাজ এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।। Regi No-280138  
Theme Customized By Shakil IT Park