
সারাদেল জুড়ে সব জায়গায় একটা সমস্যাই দেখা যাচ্ছে। তা হচ্ছে রাজনৈতিক মতবাদ বা রাজনৈতিক মতভিন্নতার কারণে, একজন জ্ঞানী গুণী লোককেও অন্য দলের লোকেরা তার শিক্ষা মেধা বা গুণগত মানের বিন্দু পরিমাণ সম্মান করা হচ্ছে না।একটি দেশে কিন্তু আসলে খুব সংখ্যক লোকই মেধা মননশীলতায় বা জ্ঞানে গুণে বেড়ে উঠেন। আর এরকম মেধাসম্পন্ন লোকদের দেশের সকল শ্রেণি পেশার সকলেই সম্মান বা শ্রদ্ধা করাই কাম্য।আসলে আমরা তা করছি না, আমরা দেখছি উনি কোন দল বা কোন রাজনীতি করেন, রাজনীতি তিনি যেদলের করেন, এখানে অন্যদলের কেউ উনাকে মূল্যায়ন করছে না। এই খাতে তিনি যত বড় মাপের মানুষ বা যত বড় মাপের ডিগ্রী থাকুক না কেন।এখানে কথা থাকে যে, গনতন্ত্র গামী দেশে রাজনীতি থাকবে, রাজনৈতিক দল থাকবে, দলের ভক্ত সমর্থকরাও থাকবে, তবে একজন সত্যিকারের গুণী লোক তিনি চান, দেশের সবাই উনাকে তার গুণাবলির জন্য সর্বশ্রেণির মানুষেরা উনাকে ভালোবাসুক।আমাদের সমাজে তা আর হলো না। এখানে বহুমুখী মতবাদের কারণে প্রতিদিন আমরা গুণী মানুষের ইজ্জত নষ্ট করছি। আমরা যারে তারে নিয়ে বিদ্রূপ মন্তব্য করছি হরহামেশা। রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার হয়ে গুণীজনের ইজ্জত হরণ হবে। এটা তো ভবিষ্যতের জন্য খারাপ।আমাদের দেশে প্রতি লাখে হাতে গুনা দুচারজন জ্ঞানী লোক পাওয়া যায়। যাদের জ্ঞানের আলো রশ্মির জোরে একটি প্রজন্ম নতুন পথ খোঁজে পায়। আর সেই গুণী মানুষদের নিয়ে যদি আমরা ইজ্জত হরণ মন্তব্য করি। এবং জ্ঞানী জনের গুণের মাঝে যদি আমরা নুনের পানি ছিটানো শুরু করি।তাহলে তো এদেশে ইচ্ছে হলেও অনেকেই জ্ঞানী হতে চাইবেন না। উচ্চ ডিগ্রী নেবেন না কেউ। যার জন্য ভূক্তভোগী হবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। তারা সবসময় থাকবে হতাশায়। কথায় আছে মাঝি মিলে হাজারো হাজার সর্দার পাওয়া দায়। আমার কথা হলো একজন গুণী লোক যে দলের হোক। আসুন সবাই সম্মান করতে শিখি।
অথই নূরুল আমিন,কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী