
এসকে জামান।। নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী ওজনে কম, ঘুষ দূর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির উর্ধে থেকে অর্পিত দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালন করাই আমার কাজ। জনগণকে সরকারের সবটুকু বরাদ্দ বন্টন করতে পারাই আমার সার্থকতা। আর তার জন্য এতোটুকু ছাড় দিতে নারাজ খুলনার মানিকতলা সিএসডির ব্যবস্থাপক মো: মোশাররফ হোসেন।এক আলাপ চারিতায় তিনি বলেন, আমার চাকুরী জীবনের সেই প্রথম দিন থেকে অদ্যাবধি কোন দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করিনি,কারো হক মারার বিন্দু পরিমাণে চেষ্টা করিনি।যতদিন চাকরি থাকবে ততদিন কোন অন্যায়ের সঙ্গে আপোষও করবো না। তিনি বলেন মহেশ্বরপাশা খাদ্য ঘুদামের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মাত্র ২ মাসে এখানকার বিবদমান শ্রমিক অসন্তোষ দুর করেছি।ছোট খাটো চুরি বন্ধ করেছি। সকল ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের চাহিদা মাফিক খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছি।চেষ্টা করেছি ডিলারদের উন্নতমানের চাল,আটা গমসহ সরকারি বরাদ্দের সবটুকু সঠিক পরিমাপে বিতরন করার।কোন রকম নিন্মমানের খাদ্য সামগ্রী বিতরন বা গ্রহণ করিনি যা ইতোপূর্বে জীবননগর এলএসডি হতে যে ১৬ ট্রাক চাল পাঠানো হয়েছিলো সেটি সরকারি নির্দেশ বর্হিভূত নিম্নমানের হওয়ায় তা গ্রহণ না করে ফেরত পাঠিয়েছি।যোগদানের পর থেকে খাদ্য ঘুদামের ভিতরকার দেখবাল ও তদারকির জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে শতাধিক সি সি ক্যামেরা।যার মাধ্যমে গুদামের ভিতরকার সকল খবরাখবর মূহুর্তেই জানতে পেরে ব্যাবস্থা নিতে পারছি।সরকারের কাছে কোন চাহিদা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন ব্যক্তিগতভাবে আমার কোন চাহিদা নাই, তবে জরাজীর্ণ অফিস ভবনটি রিপিয়ারিং করে আরো আকর্ষণীয় করা যায় কিনা কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।