
অপরাধ সমাজের জন্য এক ভয়াবহ ব্যাধি। কিন্তু অধিকাংশ সময় দেখা যায়, অপরাধী যতটা ভয়ঙ্কর, তার থেকেও ভয়ঙ্কর তার পেছনের পৃষ্ঠপোষকরা। তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা সামাজিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অপরাধকে টিকিয়ে রাখে, অপরাধীকে রক্ষা করে এবং বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে।শুধু অপরাধীকে শাস্তি দিলেই সমস্যার মূল সমাধান হয় না। কারণ অপরাধীরা সহজেই পরিবর্তিত হয়, কিন্তু তাদের পেছনে থাকা শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকেরা অপরাধের চক্রকে সক্রিয় রাখে। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রথমেই প্রয়োজন সেই পৃষ্ঠপোষকদের বিচার নিশ্চিত করা।
১. মূল শেকড় উচ্ছেদ: অপরাধীর শাস্তি সাময়িক প্রতিরোধ আনতে পারে, কিন্তু পৃষ্ঠপোষকদের শাস্তি না হলে অপরাধের শেকড় অটুট থাকে।
২. প্রতিরোধমূলক প্রভাব: যখন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শাস্তি পায়, তখন সমাজে দৃষ্টান্ত তৈরি হয়—আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।
৩. ন্যায়বিচারের পূর্ণতা: ভুক্তভোগীরা তখনই সত্যিকার ন্যায়বিচার পায়, যখন অপরাধের পিছনের চালিকাশক্তিদেরও আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়।
অতএব, কেবল অপরাধী নয়, অপরাধের পৃষ্ঠপোষকদের বিচার আগে হওয়া প্রয়োজন। নচেৎ সমাজে অপরাধ চক্র ভাঙবে না, বরং দিন দিন আরও গভীর শেকড় গেঁড়ে বসবে।
শাহবাজ জামান
সাংবাদিক,সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী